কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন
নারায়ণপুর বাজার :বোয়ালজুড়ি খালের পাড়ে নারায়নপুর একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসাকেন্দ্র। এখানে প্রাচীন জমিদারদের প্রায় বারোটি কাচারীঘর ছিলো। নারায়নপুর বাজারের পশ্চিমপার্শ্বে বেশ উচুভূমিতে সিদ্ধপুরম্নষ মীর্জা হোসেন আলীর মসজিদ অবস্থিত ছিলো যা ১২০৭ হিজরীতে স্থাপিত। পাঁচ গম্বুজের সুদৃশ্য মসজিদটির আয়তন দৈর্ঘ্যপ্রস্থে সমান ২২'বাই ২২'। সামনের পাকা প্রাঙ্গন ২৪'বাই ২৪'। দেওয়ালের ঘনত্ব ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি। উত্তর পাশেই তিনি একটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে কালী বটগাছ নামে একটা পুরণো বটগাছ ছিলো । নারায়নপুর পরগনা বিভিন্ন দেবদেবীর বিগ্রহে ভর্তি ছিলো। এখানে নারায়ণ ও গণেশের বিগ্রহও ছিলো। কালাপাহাড়ির ভয়ে পুকুর ও দিঘীতে দেবদেবতারা লুক্কায়িত ছিলো। এরূপ অনেক মিথ জড়িয়ে রয়েছে এ এলাকায়।
কাশিমপুর :নারায়নপুর ইউনিয়নের অমত্মর্গত বোয়ালজুড়ি খালের অদূরে পশ্চিমে এক উচ্চভূমিতে কাশিমপুর অবস্থিত। কথিত আছে জমিদার কাশিম খানের নামানুসারে কাশিমপুর গ্রাম। তবে কাশিম খান বিষয়ে বিসত্মারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। রাজা রাম রায়ের জমিদারী ছিলো এ কাশিমপুরে। এ জমিদার বাড়িতে ৬০ কেজি কেরোসিন লাগতো প্রতিদিন আলো জ্বালানোর জন্য। কাশিমপুরের পূর্ব নাম ছিলো সৈয়দপুর যা ইতকাদপুর পরগনায় ছিলো। লাকসামের জমিদার নবীনকৃষ্ণ রায় চৌধুরী্ও অমর কৃষ্ণ রায় চৌধুরী যারা নওয়াব ফয়জুননেসার ফুফা ছিলেন। তাঁদের সাথে রাজা রাম রায়ের আত্মীয়তা ছিল। কাশিমপুরে ৩টি উঁচু প্রাচীন মঠ রয়েছে। বারদুয়ারী মঠ। জমিদার বাড়িতে আন্ধারমানিক নামক টর্চারসেল এখনো বিদ্যমান। কাশিমপুরে এখনো ৫০০ বছরের একটি তেঁতুল গাছ রয়েছে। নাগ দিঘি রয়েছে এ কাশিমপুরে। এ কাশিমপুর গ্রামেই হরদয়াল নাগ নামে এক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির জন্ম হয় যিনি হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের কংগ্রেস রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। হরদয়াল নাগের বাড়ি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। তিনি চাঁদপুর বারের বিশিষ্ট আইনজীবী ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস